Translate

মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১২

রান্নাঘরের টিপস

ওভেনে রান্নার আগে


সময়ের যান্ত্রিকতায় মাইক্রোওয়েভ অবিচ্ছেদ্য সব পরিবারে । জীবনটা আজ যেন যান্ত্রিকতার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মিটিয়ে সবার নাগালের মধ্যেই এসেছে মাইক্রোওয়েভ ওভেন। বায়োসিরামিক প্রযুক্তিতে তৈরি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না করা খাদ্যের গুণ অর্থাৎ ভিটামিন, নিউট্রেশন সব ঠিক থাকে। শুধু তাড়াতাড়ি রান্না বা অল্প তেল-মশলায় রান্নাই নয়, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না করা যায় হাইজিনিক ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। আধুনিক রন্ধনবিদরা প্রমাণ করেছেন, কেবল খাবার গরমই নয়, নানা স্বাদের খাবারও তৈরি করা যায় মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। দৈনন্দিন সাধারণ খাবারের পাশাপাশি কেক, বিস্কিট, ফিরনি, পোলাও, কাবাব, নান সবকিছুই খুব সহজে তৈরি করা যায় মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। রেগুলেটর এবং ইজিটাচ কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে সহজেই যেমন অপারেট করা যায় তেমনি মেন্যুয়াল দেখে নিজে নিজেও চেষ্টা করা যায় এবং প্রস্তুত করা যায় মজার মজার খাবার।

মাইক্রোওয়েভে রান্নার জন্য কিছু সহজ পদ্ধতিতেও আছে, যা আমাদের বৈদ্যুতিক খরচ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস-
* রান্নার জন্য মাংস তেল-মসলা দিয়ে মাখিয়ে ৩/৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।

* খাবার ১৫/২০ মিনিট আগে ওভেনে রান্না করুন। দেখবেন টেস্ট লাগবে এবং সময়ও বাঁচবে।
* ওভেনপ্রুফ বাটি বা ডিশ ব্যবহার করুন। দুর্ঘটনা কমে যাবে।

* রান্নার পর ওভেন ঠাণ্ডা হলে হাত দিন।
* ওভেনের ভেতর তেল-মশলা ছড়িয়ে গেলে টিস্যু দিয়ে হালকাভাবে মুছে নিন।

* রান্না না করলেও মাঝে মাঝে ওভেনের ভেতর মুছে রাখুন।
* ওভেন ব্যবহারের জন্য মজবুত করে সুইচবোর্ড লাগিয়ে নিন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন আজ আর শুধু শৌখিনতা নয়, আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশে রূপ নিয়েছে। পিৎজা ও মচমচে জলখাবার রান্নার জন্য কিংবা ঢিমা আঁচে রান্নার জন্য এবং সহজে ডিফ্রস্ট করার জন্যও মাইক্রোওয়েভ অতুলনীয়।


রান্নাঘরের টুকিটাকি

মাছ ভাজা হলে কিংবা রসুন বেশি ব্যবহার করলে পুরো বাড়িতেই দুর্গন্ধ ছড়ায় তাই রান্না শুরুর আগে একটা বাটিতে ভিনেগার ঢেলে চুলার কাছেই রাখুন। এটি গন্ধ শুকানোর পক্ষে আদর্শ।
ভাত, ডাল, দুধ উথলে পড়ে প্রায়ই চুলা নোংরা হয়। এক্ষেত্রে চুলা পরিষ্কারের জন্য প্রথমেই চুলার ওপর লবণ ছড়িয়ে দিন। চুলা ঠাণ্ডা হলে গরম সাবান পানিতে কাপড় ভিজিয়ে জায়গাটি মুছে নিন।
রান্নাঘর আর খাবার ঘরে মাছির উপদ্রব এড়াতে নিপপাতার গোছা কয়েকটি স্থানে রেখে দন।
ফ্রিজে প্রায়ই দুর্গন্ধ হয়। এ অবস্থায় ফ্রিজে খাবার রেখে দেওয়াটা অস্বাস্থ্যকর। ফ্রিজের খাবার ঢেকে রাখুন।

ফ্রিজে অনেক সময় অগোচরে সবজি পচে দুর্গন্ধ হয়। আর তাই এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করা উচিত।

ফ্রিজ পরিষ্কার করার পর অনেকক্ষণ ফ্রিজের দরজা খোলা রাখুন। তারপর ফ্রিজে বেকিং সোডা রেখে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করুন। প্রয়োজনে দুই চার দিন পরপর বেকিং সোডা পাল্টে দিন।

ফ্রিজে খুব বেশি দুর্গন্ধ হলে সাবান পানিতে ফ্রিজ পরিষ্কার করে সাদা ভিনেগার একবার কাপড়ে ভিজিয়ে ফ্রিজ আবার মুছে নিন। এরপর বেশ খানিকক্ষণ খোলা রাখুন ফ্রিজ। তারপর ফ্রিজে বেকিং সোডা রেখে ফ্রিজ বন্ধ করুন।

রান্নাঘরের সিংক কিংবা বেসিনের মুনোনা জিনিস আটকে প্রায়ই পানি জমে যায়, দুর্গন্ধ হয়। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে ব্যবহার করা যায় এমন ব্লিচ দুই কাপ ঢেলে দিন সিংক কিংবা বেসিনের মুখে। এরপর একঘণ্টা ওভাবে রেপোনি ঢেলে দিন। দেখবেন সিংক কেমন পরিষ্কার হয়ে গেছে।

আজকাল অনেকেই গাছ দিয়ে ঘর সাজায়। আপনি আপনার রান্নাঘরের অব্যবহৃত কোন একটি কোণে রাখতে পারেন। কোন সাকুলেন্ট কিংবা বনসাই গাছ। আপনার রান্নাঘর হয়ে উঠবে অনেক স্বতন্ত্র ও নান্দনিক।


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন