Translate

মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১২

তেল কম মসলা কম


এই ঈদে মাংস তো খাওয়া হবেই। তবে রান্নার পদ্ধতি আর উপকরণে একটু অদলবদল করেই খাবারটা করে ফেলা যায় বেশ সহজপাচ্য। দেখুন নাসরিন আলমের দেওয়া কয়েকটি রেসিপি।

সবজি মাংস
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, ডার্ক সয়াসস ২ টেবিল-চামচ, ভিনেগার ১ টেবিল-চামচ, মধু ২ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল-চামচ, মাংসের স্টক ২ কাপ।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে রাখতে হবে সারা রাত। রান্না করার আগে স্টক দিয়ে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ৫-৬টা সিটি তুলে ঢাকনা খুলে পানি শুকিয়ে নিতে হবে।
সবজির জন্য: ভাঁজ খোলা পেঁয়াজ ২ কাপ (১টি পেঁয়াজ লম্বায় ৮ টুকরা করা), পেঁয়াজপাতা লম্বা ফালি আধা কাপ, গাজর লম্বা ফালি (ভাপ দেওয়া) ১ কাপ, ব্রকলি টুকরা (ভাপ দেওয়া) ১ কাপ, ফুলকপি টুকরা (ভাপ দেওয়া) ১ কাপ, বেবিকর্ন ছোট টুকরা (ভাপ দেওয়া) আধা কাপ, ক্যাপসিকাম লম্বা ফালি ১ কাপ, তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: তেল গরম হলে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনতে হবে। পেঁয়াজ নরম হলে সেদ্ধ মাংস দিয়ে কষিয়ে সেদ্ধ সবজি দিয়ে ভুনতে হবে। ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়ে নামাতে হবে। সাজিয়ে পরিবেশন করুন পোলাও, ভাত, রুটি, পরাটা বা পাউরুটির সঙ্গে।

বিফ টিক্কি
উপকরণ: গরুর মাংসের মিহি কিমা ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কিমা ১ কাপ, রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২টা, টমেটো সস ৩ টেবিল-চামচ, গরম মসলা ১ চা-চামচ (সব মেলানো), হালকা ফেটানো ডিম ১টা, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতার কুচি ২ টেবিল-চামচ, ওট আধা কাপ, তেল ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: বড় বোলে ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিতে হবে। খুব করে মেখে নিয়ে ছোট ছোট টিক্কি বানিয়ে অল্প তেলে এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে তুলতে হবে।
সসের জন্য: ময়দা ২ টেবিল-চামচ, মুরগির স্টক ২ কাপ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২-৩ টেবিল-চামচ।
স্টকের মধ্যে ময়দা ও সস দিয়ে গুলে নিতে হবে। চুলায় রান্না করে ঘন হয়ে এলে ধনেপাতা দিয়ে নামাতে হবে।
সার্ভিং ডিশে টিক্কি সাজিয়ে ওপর থেকে সস দিয়ে পরিবেশন।

দই-মাংস
উপকরণ: খাসির মাংস ১ কেজি, টক দই ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, ধনেগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, আধা ভাঙা গোলমরিচ ১ টেবিল-চামচ, গোটা জিরা ১ চা-চামচ, দারচিনি ২-৩ টুকরা, বড় এলাচ ২-৩টা, শুকনা মরিচ ৪-৫টা, তেজপাতা ছোট ২টি, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, লবণ ১ টেবিল-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, তেল ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: ওপরের উপকরণ দিয়ে মাংস মেখে রাখতে হবে সারা রাত। তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, জিরা আধা চা-চামচ তেল গরম হলে পেঁয়াজ ও জিরা দিয়ে কষাতে হবে (প্রেসার কুকারে)। পেঁয়াজ বাদামি হলে মাখানো মাংস দিয়ে ভুনে প্রেসারে রান্না করতে হবে। ৬-৭টি সিটি উঠলে ঢাকনা খুলে নেড়ে নেড়ে রান্না করতে হবে। আন্দাজমতো ঝোল রেখে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে নামাতে হবে। সাজিয়ে পরিবেশন। দই-মাংস পছন্দমতো ভাত, পোলাও, পরাটা, রুটি দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

কিমা সালাদ
উপকরণ: কিমা ২৫০ গ্রাম (খাসির বা গরুর), ভিনেগার ১ টেবিল-চামচ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি দেড় কাপ।

প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ দিয়ে কিমা সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে।
সালাদের জন্য যা যা লাগবে: পানি ঝরানো টক দই ১ কাপ, আপেল কিউব ১ কাপ, শসা কিউব আধা কাপ, পুদিনাপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, টমেটো কিউব আধা কাপ, গাজরের কিউব আধা কাপ, কাঁচা মরিচের কুচি (বিচি ফেলে নেওয়া) ১টা, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, গোলমরিচের গুঁড়া স্বাদমতো, তেঁতুলের চাটনি ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: দইয়ের সঙ্গে পুদিনাপাতা, ধনেপাতা, লেবুর রস, লবণ, চিনি, গোলমরিচ, তেঁতুলের চাটনি দিয়ে মিলিয়ে ঠান্ডা (ঠান্ডা পরিবেশন) করে নিতে হবে।

পরিবেশনের আগে দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে কিমা সেদ্ধ, আপেল, শসা, গাজর, টমেটো ও কাঁচা মরিচের কুচি মিলিয়ে নিতে হবে। এবার সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন